কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় ১০ টি কার্যকারী উপায়



উদ্যোক্তা কথাটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি শব্দ। উদ্যোক্তা এমন একটি বিষয় যা ব্যক্তির নিজস্ব কর্ম পরিচালনা করার মাধ্যমে তার উক্ত চিন্তা চেতনা কাজকর্ম উপস্থাপিত হয়। উদ্যোক্তা বিষয়টি বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য একটি প্রতীকী শব্দ হিসাবে পরিচিত হয়েছে।




এজন্য একজন সফল উদ্যোক্তা কিভাবে হওয়া যায় কোন কোন পদক্ষেপ বা উপায় বা দিক নির্দেশনা গ্রহণ করলে সফল উদ্যোক্তা হয়ে জীবন পরিচালনা করা হয় সেই বিষয়ে আমাদের এই আলোচনায় আলোকপাত করা হলো।



ভূমিকা 


একজন আদর্শ উদ্যোক্তা হতে হলে জ্ঞান, দক্ষতা, প্রজ্ঞা, ধৈর্যশীল, আদর্শবান, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ, দৃষ্ট মনবল এবং দূরদর্শিতা লক্ষ্যবস্তু থাকতে হবে। উদ্যোক্তা হতে হলে এই বিষয়গুলো দিকনির্দেশনা স্বরূপ প্রতিফলন করতে হবে তাহলে একজন আদর্শ উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।



একজন সফল উদ্যোক্তার বড় বৈশিষ্ট্য কোনটি



পরিমিত ঝুঁকি গ্রহণ সফল উদ্যোক্তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। ধৈর্যশীল হতে হবে। প্রথমবার সফলতা না আসলে আবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে কারণ একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রথমেই সফল হবে এমন কথা নয় ব্যর্থতা আসতেই পারে, সেজন্য নিজের লক্ষ্যবস্তু নির্দিষ্ট করে সেই পথে অটুট থাকার জন্য ব্যর্থ হলেও বারবার চেষ্টা করতে হবে এবং বিভিন্ন নীতিমালা পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করার মাধ্যমে।

নিজের ব্যবসা, কৃষি খামার পরিচালনা করতে হবে তাহলেই সফলতা আসবে জীবনের মোড় পরিবর্তন আনতে হবে। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে জীবিকা নির্বাহ করতে হলে সেই পথে অটুট মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে একসময় সেই লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে ধৈর্য এবং ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে।





কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়


লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট আগ্রহী হতে হবে

কঠোর পরিশ্রম করুন

উপভোগ করতে শিখুন

নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন

নমনীয় হন তবে লক্ষ্য অর্জনে অটল থাকুন

টিমের উপর নির্ভর করতে শিখুন

 বাস্তবায়ন নিশ্চিত করুন

 সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করুন



একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী


সফল উদ্যোক্তারা আবেগ, অধ্যবসায়, সৃজনশীলতা, অভিযোজনযোগ্যতা, ঝুঁকি গ্রহণ, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, নেতৃত্ব এবং একটি ইতিবাচক মনোভাবের মতো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণ ধারণ করে।একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে ব্যর্থতার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং সেই ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে সফলতার লক্ষ্য বস্তু নির্ধারণে এগিয়ে যেতে হবে।

পৃথিবীর কোন সফল কোন ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা প্রথমেই সফলতা অর্জন করেননি ব্যর্থতার সাধ তাকে গ্রহণ করতে হয়েছে তারপরেও ধৈর্যশীল, মনোভাব, নেতৃত্ব, দক্ষতা ব্যর্থতার প্রতিকার সমাধানের জন্য উদ্বেগ গ্রহণ করেছে এবং ধীরে ধীরে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ম পরিচালনা করেছে। 

একসময় সেই ব্যবসা সফল হয়েছে। এজন্যই ব্যর্থতা না আসলে কোন ব্যক্তি বা উদ্যোক্তা সফল হতে পারেনা। সফলতার একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু ধৈর্যশীল হতে হবে মনোবল শক্ত রাখতে হবে অধ্যবসায় হতে হবে তাহলেই না একজন বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভবপর হবে।


একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন



একজন মহান উদ্যোক্তাকে অবশ্যই কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে, বিক্রি করতে, ফোকাস করতে, শিখতে এবং কৌশল করতে সক্ষম হতে হবে। ক্রমাগত শেখার ক্ষমতা শুধুমাত্র একটি মূল উদ্যোক্তা দক্ষতা নয় বরং একটি অত্যন্ত মূল্যবান জীবন দক্ষতাও একটি ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য অন্তর্নিহিত ব্যবসায়িক বোধ এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে একটি সঠিক কৌশল প্রয়োজন।

উদ্যোক্তাহওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী নীতি নির্ধারণ এবং দিকনির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়। যেমন কৃষি খামার বা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মূলধন নির্ধারণ,দীর্ঘ পরিকল্পনা,আয় ব্যয়ের হিসাব, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, আবেগ, সম্পদশালীতা,উন্নতি করার ইচ্ছা এবং অন্যের কথা শোনা এবং সফল হওয়ার দৃঢ় সংকল্পই একজন উদ্যোক্তাকে সফল করে তোলে।


একজন সফল উদ্যোক্তার জন্য আলোচনা করা কি প্রয়োজন 



উদ্যোক্তাদের জানতে হবে কীভাবে কার্যকরভাবে তাদের অর্থব্যবস্থা পরিচালনা করতে হয়, নগদ প্রবাহ বুঝতে এবং তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হয়। উদ্যোক্তা মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং দলগত দক্ষতা। ভাল এবং কার্যকর যোগাযোগ একজন উদ্যোক্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।

একজন আদর্শ উদ্যোক্তা কখনোই নিজে নিজে সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবে এমনটি নয় বরং তাকে অভিজ্ঞ ব্যক্তি পরামর্শ এবং ব্যবসায়িক বা কৃষিকামার জোতের দক্ষ কর্মকর্তার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কৃষি খামারের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত।

আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা সমাধানের জন্য মতামত গ্রহণ করতে হবে তাহলেই একজন উদ্যোক্তা তার সমস্যা সম্পর্কে অবগত হবে এতে করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কৃষি খামার সফলতার দ্বারপ্রান্তে উন্মোচিত হবে এজন্য একজন ব্যক্তির বা উদ্যোক্তার বিষয়গুলো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে আলোচনা করা উচিত।


তাহলেই সে তার ভুল পদক্ষেপগুলো প্রতিহত করতে পারবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পথ হবে তাহলেই না একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভবপর হবে এজন্য একজন সফল উদ্যোক্তার এই বিষয়গুলি আলোচনা করে তার ভুল নির্ধারণ করে সেইগুলো সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।





আমাদের মতামত



উপরোক্ত আলোচনায় এটি প্রতিয়মান হয় যে একজন সফল ও আদর্শবান উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হতে হলে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা নীতিমালা সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাস্তবায়ন ও পরিচালনার মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে। তাহলেই একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্র জীবনে অবদান রাখা সম্ভব হবে। এতে করে একটি দেশ জাতি বা পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারে দেশের বেকারত্ব ঘুচাবে এবং নতুন প্রজন্ম উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনায় বুঝতে শিখবে শুধু চাকরি নয় একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা যায়। 

এজন্য আমাদের এই উক্ত আর্টিকেলটি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জীবন গল্প এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকবেন এবং সামনে আরো নতুনত্ব সৃজনশীল লেখাগুলি সম্পর্কে অবগত থাকবেন। ধন্যবাদ,,






























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url